ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​বিধানসভা উপনির্বাচন : পশ্চিমবঙ্গে ৬ আসনেই জয় পেল তৃণমূল

আপলোড সময় : ২৪-১১-২০২৪ ০১:৩৯:০৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৪-১১-২০২৪ ০১:৫১:৩৩ অপরাহ্ন
​বিধানসভা উপনির্বাচন : পশ্চিমবঙ্গে ৬ আসনেই জয় পেল তৃণমূল ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার উপনির্বাচনে ছয়টি আসনেই জয় পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগণনা। এরপর ধীরে ধীরে শুরু হয় ফলাফল ঘোষণা।  বিধানসভার সব কয়টিতেই জয়লাভ করে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। আসনগুলো হলো- সিতাই, মাদারিহাট, তালডাংরা, মেদিনীপুর, হাড়োয়া ও নৈহাটি। 
গত ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনে এই ছয়টি আসনের মধ্যে কেবলমাত্র মাদারিহাট আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি, বাকি পাঁচটিই তৃণমূলের দখলে ছিল। কিন্তু এবারের উপনির্বাচনে সেই আসনটিও নিজেদের দখলে নিল তৃণমূল। 
সিতাই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী সঙ্গীতা রায়, মাদারিহাট কেন্দ্রে জয়প্রকাশ তোপ্পো (তৃণমূল), তালডাংরা কেন্দ্রে ফাল্গুনী সিংহবাবু (তৃণমূল), মেদিনীপুর কেন্দ্রে সুজয় হাজরা (তৃণমূল), হাড়োয়া কেন্দ্রে এস.কে রবিউল ইসলাম (তৃণমূল) এবং নৈহাটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। 
এই ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়করাই সম্প্রতি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এই আসনগুলোতে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী সময়ে একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা। মূলত এই আবহেই গত ১৩ নভেম্বর এই ছয়টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 
বিজেপির প্রত্যাশা ছিল, আরজি করের মতো ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদের পালে হওয়া টানতে পারবে। যদিও ভোটারদের মন জয় করে শেষ হাসি হাসলো তৃণমূল। আর এ ঘটনা থেকেই পরিষ্কার যে আরজিকর ইস্যু ভোটারদের মনে কোনো ছাপই ফেলতে পারেনি। একমাত্র উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ফের একবার তৃণমূলেই আস্থা রাখল ভোটাররা। ভোটের পরই উৎসবে মেতে ওঠে তৃণমূলের দলীয় কর্মী সমর্থকরা। 
জয়ের পরই পশ্চিমবঙ্গের মা-মাটি-মানুষকে অভিবাদন জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে মা-মাটি-মানুষকে জানাই প্রণাম, জোহার ও সালাম। আপনাদের এই আশীর্বাদ আমাদের আগামীর চলার পথে আরও সক্রিয়ভাবে মানুষের কাজ করার উৎসাহ দেবে। মানুষই আমাদের ভরসা। আমরা সবাই সাধারণ মানুষ, এটাই আমাদের পরিচয়। আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার। আপনাদের আশিস আজীবন হৃদয় স্পর্শ করে থাকবে। জয় বাংলা!’

বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে 
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ